লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের আজিম হোসেন প্রায় ১১ বছর আগে কোরিয়ায় গিয়েছিলেন উন্নত জীবনের আশায়। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে তিনি কৃষিকাজে মনোনিবেশ করেন। প্রথমে সবজি চাষ শুরু করলেও পরে তিনি মাল্টা চাষে ঝুঁকেন।
২০১৭ সালে তিনি ৪১ শতক জমিতে মাল্টার চারা রোপণ করেন। স্থানীয় কৃষি অফিসারের পরামর্শ ও নিজস্ব উদ্যোগে মাল্টা বাগান গড়ে তোলেন। ২০২০ সাল থেকে তার বাগানে ফল আসতে শুরু করে। ২০২২ সালে ভালো উৎপাদন পান এবং ২০২৩ সালে তিনি ৩ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেন।
আজিম জানান, মাল্টা চাষে খরচ তুলনামূলক কম এবং লাভ বেশি। ৫০-৭০ হাজার টাকার খরচে তিনি প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করছেন। পানি সেচ, সার ও পরিচর্যার প্রতি যত্নবান হওয়ায় ফলন ভালো হচ্ছে।
তার এই সাফল্যে স্থানীয় কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আজিমের বাগান দেখে অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
কোরিয়ায় শ্রম বিক্রি থেকে ফিরে এখন নিজ গ্রামে মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন আজিম হোসেন।ম