নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে এক গর্ভবতী নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে ইউএন অফিস ঘেরাও, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসীরা।
বুধবার দুপুর ১২ টায় ইউএনও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই নির্যাতিত নারীর স্বামী আব্দুল কুদ্দুস জানান, আজ সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঙ্গলকোঠা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার জন্য স্থান নির্ধারণ করে। এই সময় স্থানীয়রা এসে বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণে বাধা দিলে ইউএনওর সাথে স্থানীয়দের হট্টগোল সৃষ্টি হয়। ঘটনার সময় আমি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয় এবং লাল নিশান টাঙ্গানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট শুরু করে। এ সময় প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো হানজালা জানান, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দন্দ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে স্থানীয় গ্রামবাসী এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহারিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। উল্টো অভিযোগ করেন তারা সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে আর এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা এ মিথ্যা নাটক করছে।