কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সেনপাড়া এলাকার মো. রবিউল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৬) একদিন নিখোঁজ থাকার পর সাংবাদিকের উদ্যোগে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন। এক সন্তানের জননী জেসমিন মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টার পর বাবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন জেসমিন। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে পরদিন সকালে তারা স্থানীয় সাংবাদিক মেজবাহুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ঘটনাটি জানার পর সাংবাদিক মেজবাহুল আলম তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেসমিনের ছবি ও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেন। এতে সাড়া দিয়ে সাজ্জাদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি মন্তব্যে জানান, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নারী ভর্তি আছেন, যিনি নিখোঁজ জেসমিনের সঙ্গে মিলে যায়।
খবর পেয়ে সাংবাদিক মেজবাহুল দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে জেসমিনকে শনাক্ত করেন এবং তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল হক ও ভূরুঙ্গামারী থানার এসআই নাজমুল হক-এর উপস্থিতিতে জেসমিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জেসমিনের ভাই সাদ্দাম হোসেন ও স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন,
সাংবাদিক মেজবাহুল আলমের সহযোগিতা ছাড়া আমরা হয়তো এত দ্রুত জেসমিনকে ফিরে পেতাম না। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।