আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ ভিন্ন মেজাজে পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি। দলীয় সূত্র জানায়, দিনটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সারা দেশে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, যার মধ্য দিয়ে কার্যত শুরু হবে বিএনপির নির্বাচনী যাত্রা।
১৯৭৫ সালের ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে বিএনপি। ৭ নভেম্বর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসার দিন।
দলীয় সূত্র অনুযায়ী, এবারের ৭ নভেম্বরের মূল লক্ষ্যই নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও জনসভা আয়োজনের পাশাপাশি প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণামূলক কর্মসূচি নেবেন। এসব কর্মসূচিতে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের পক্ষে প্রচার জোরদারের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে গত সোমবার বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ২৩৭ জনের প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা করে। ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’–এর কর্মসূচি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’-এর পক্ষে প্রচার জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সাবেক এমপি, শিশু বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি। হাই স্কুলের মাঠ প্রাঙ্গন থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু করে- কলেজ রোড, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড , মির্জাপুর বাইপাস সহ মির্জাপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এতে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করে।
সভার পূর্বে ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, হাজী এবাদত মৃধার নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ও মিছিল বের করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাহ্ উদ্দিন আরিফ, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এস এম মহসিন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী আজম সিদ্দিকী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপি খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক,ডি.এম শফিকুর ইসলাম ফরিদ, প্রমুখ
বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরো অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।