1. infojayjaysomoy@gmail.com : দৈনিক যায়যায় সময় : দৈনিক যায়যায় সময়
  2. info@www.jayjaysomoy.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হাটহাজারীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল গাজীপুর’র সফিপুর বাজারে আগুন, আধা ঘন্টায় নিয়ন্ত্রণ ফায়ার্সার্ভিস নিয়ামতপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি পাবনায় নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ এর দায়িত্বভার গ্রহণ দিনাজপুরের হাকিমপুরে আ.লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্যকে চোখ উপড়ে হত্যা পুড়ে যাওয়া বস্তিবাসীর পাশে দাঁড়ালেন সাভার এর নারী উদ্যোক্তা জান্নাতুল ইসলাম সুমি টঙ্গীতে আতঙ্কে অর্ধশতাধিক পোশাককর্মী অসুস্থ নোয়াখালী সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি প্রার্থীর মতবিনিময় টঙ্গীর জোড় ইজতেমায় মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় কালিয়াকৈরে প্লাস্টিক তৈরি কারখানায় মেশিন বিস্ফোরন, দুই শ্রমিক দগ্ধ

মির্জাপুর জামুর্কী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর আলী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

‎তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মস্তমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) থাকাকালীনও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। তার এই দুর্নীতির প্রতিবাদে ও তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

‎জানা গেছে, ২০০৭ সালে জামুর্কী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক থাকাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কোচিং করানোর নামে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে আদায় করেন ওমর আলী। তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে তাকে অন্যত্র বদলি ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করার সুপারিশ করেন যাহার স্বারক নাম্বার – উশিঅ/মির্জা/তদন্ত/৪২১। পরবর্তীতে ওমর আলীকে প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। সেখানেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তাকে একই উপজেলার ওয়ার্শী ইউনিয়নের মস্তমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

‎‎পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন ওমর আলী বহিরাগত কিছু লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। পরবর্তীতে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রোমেজ উদ্দীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সুপারিশ ক্রমে মির্জাপুর থানায় ওমর আলীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন (যাহার নাম্বার -১৩২৯)।

‎এছাড়া মস্তমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে ওমর আলী ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ১০ তারিখে সহকারী শিক্ষক ইকলিমা আক্তার, নুরুল ইসলাম, নৈশপোহরী আমিনুল ইসলামকে ফোন করে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে দেখতে পান প্রধান শিক্ষক ওমর আলী বিদ্যালয়ের দৈনিক হাজিরা খাতার দুটি হাজিরা পৃষ্ঠা ছিঁড়ে হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন। তারা এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পেলে প্রধান শিক্ষক ওমর আলীসহ শিক্ষকদয়কে কৈফত তলব করেন। পরে ওমর আলী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তিন বছর ৫ মাস চলার পর বাদির আরজির বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। অর্থাৎ মামলায় ওমর আলী হেরে যান। এছাড়া ওমর আলীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ৩ লক্ষ্য ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি পরপর দু’জন তদন্ত অফিসারের তদন্তে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন কর্তৃক বিভাগীয় মামলা দায়ের ও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ( যাহার স্বারক নাম্বার -৩৮.০১.৯৩০০.০০০.২৭.০০১.২৫)।

‎পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, বর্তমান এডহক কমিটির সদস্য মো. খোকন মিয়া, স্থানীয় রায়হান মিয়া জানান, বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) ওমর আলী বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও অনিয়মের সাথে জড়িত। তার কারণে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে অনিহা প্রকাশ করছে। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি ওমর আলীকে সাময়িক বরখাস্ত নয়, প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হোক।

‎জামুর্কী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ ওমর আলী জানান, ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত হয়েছে। আমি তদন্ত কমিটির কাছে যথাযথ প্রমাণ দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।

‎জামুর্কী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি মো. মুছা রাহিম জানান, দরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ওমর আলীর দুর্নীতির শেষ নেই। এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি চাই উনি যেন এই বিদ্যালয়ে আর কোন দায়িত্ব পালন না করেন। তাকে যেখানে বদলী করা হয়, সেই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেই আবার অনিয়মের সাথে যুক্ত হয়। তাকে স্থায়ী ভাবে বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছি।

‎টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাব উদ্দিন জানান, শিক্ষক ওমর আলীর বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখা, ছবি ও অন্যান্য কনটেন্ট “দৈনিক যায়যায় সময়”-এর মালিকানাধীন। অনুমতি ব্যতীত কোনো কনটেন্ট কপি, ব্যবহার, বিতরণ বা পুনঃপ্রকাশ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। যদি কোনো লেখা, ছবি বা তথ্যের উপর আপনার স্বত্বাধিকার দাবি থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। যথাযথ যাচাই-বাছাই ও প্রমাণ উপস্থাপনের ভিত্তিতে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট অপসারণ করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট