দিনাজপুরের বিরামপুরে আলোচনায় এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আজ (৩রা অক্টোবর-২৫) শুক্রবার
ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে একটি কৌশল অবলম্বন করে। অভিযোগ উঠেছে, প্রায় দুই বছর পূর্বে বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগীর দাবি, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে কৌশলে তাকে একটি বাড়ির ঘরের মধ্যে জোরপূর্বক আটক করে। এসময় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে শরীরের সমস্ত কাপড় খুলে ফেলা হয় এবং ঘরে একজন নারীকে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। পরে সেই মুহূর্তে গোপনে ভিডিও ধারণ করা হয়। তিনি আরও জানান, “আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করার জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। পুরনো ভিডিওকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আমার মানসিকভাবে ক্ষতি সাধন এবং সামাজিক মর্যাদা নষ্টের চেষ্টা চলছে।”
অভিযোগে আরও জানা যায়, ঘটনার ২-৩ বছর পর বর্তমান সময়ে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে তাকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলা ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তার হোসেন।
ঘটনাটি ঘটার পর থেকে দীর্ঘ ২-৩ বছর পর্যন্ত ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু বর্তমান সময়ে রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে হেনস্থার অপচেষ্টা হিসেবে ভিডিও প্রকাশের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তার হোসেন। এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে,এ ধরনের নোংরা রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। পুরনো ভিডিওকে সামনে এনে একজন জনপ্রতিনিধিকে হেনস্থা করা রাজনৈতিক নোংরামির বহিঃপ্রকাশ বলে তারা মন্তব্য করেন। ভুক্তভোগী মুক্তার হোসেন প্রশাসনের কাছে আবেদন করে বলেন, “যারা এ ধরনের চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক এবং ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এভাবে কারও সম্মানহানি করতে না পারে তার ব্যবস্থা নেয়া হোক।”এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ জনগণও দাবি তুলেছে, যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, পুরনো ভিডিও ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে হেনস্থা করার এ ধরনের অপকৌশল গণতন্ত্র ও সামাজিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মুক্তার হোসেন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, পরিকল্পিতভাবে তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চলছে। তিনি দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।