বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল সদর আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবির ঘটনায় এক চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২অক্টোবর) রাতে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল সদর থানায় চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এই সাধারণ ডায়েরি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহম্মেদ বলেন, টাঙ্গাইল পৌর এলাকার জালাল উদ্দীন চাকলাদার নামের এক ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বিদেশি একটি নম্বর থেকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নাম ব্যবহার করে টাকা দাবি করা হয়।
বিষয়টি টুকুর নজরে এলে তিনি চাঁদাবাজ বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে লিখিত আবেদন করেন। একই ঘটনায় জালাল উদ্দীনও একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি। বিদেশি একটি নম্বর থেকে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর (টুকুর) ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এটি করা হয়ে থাকতে পারে।
ভুক্তভোগী জালাল উদ্দীন জানান,
গত (২৮ সেপ্টেম্বর) তারিখে গাজিপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা পরিচয়ে এক ব্যক্তি ভোর রাতের দিকে তাঁকে ফোন করে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর আত্মীয়ের ক্ষতি করেছেন এমন কথা জানিয়ে টাকা দাবি করে। ওই ব্যক্তি পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে টাকা না দিলে মব সৃষ্টি করে হামলা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বিষয় ছড়িয়ে দেওয়া ও সাংবাদিক সম্মেলন করে হেনস্তা করার হুমকি দেয়। এরপরে বিষয়টি টুকু ভাইকে অবহিত করলে তিনি তাঁকে সাহস জুগিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং আইনের আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেন। এর পরই তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ বিষয়ে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জানান ,
আমি সবসময় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করে আসছি। টাঙ্গাইল থেকে চাঁদাবাজ নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছি। আমার প্রতিটা বক্তব্যে চাঁদাবাজিসহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে চাপে রাখি। ধারণা করছি এসব কারণে একটি গোষ্ঠী আমার সুনাম ও আমার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে এমন নোংরা ষড়যন্ত্র করেছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রশাসনের কাছে জড়িত ব্যক্তি ও ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছি।’
উল্লেখ্য, এর আগেও টাঙ্গাইলে বেনামি চিঠিসহ নানাভাবে চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।