দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মাদকদ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার। বিশেষ করে রেল স্টেশন এলাকা, কেডিসি রোড, কলোনি পাড়া, শালবাগান, কল্যাণপুর, কলাবাগান মাইক্রোস্ট্যান্ড, কলাবাগান কৃষ্ণচাঁদপুর, গোহাটি ও আজাদ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, মামুদপুর মোড়, হাবিবপুর, এমপি মোর আদিবাসী পাড়া, কলেজ বাজার বটতলী, মাহালি পাড়া, শিমুলতলী, মির্জাপুর মোড় এবং ঘোড়াঘাট রেলঘুমটি এলাকায় মাদক বেচাকেনা যেন রীতিমতো দৈনন্দিন চিত্রে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসব এলাকায় নিয়মিতভাবে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, ও দেশীয় তৈরি নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা চলছে প্রকাশ্যে। কেবল পৌর এলাকা নয়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নেও মাদক ব্যবসার বিস্তার ঘটেছে ভয়াবহভাবে। যুবসমাজ,বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও দিনমজুর শ্রেণির অনেকেই এ নেশার ফাঁদে পড়ে পরিবার ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে। এলাকার সচেতন নাগরিকরা জানান,প্রশাসনের তদারকি না থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাঝে মাঝে অভিযান হলেও তা স্থায়ী সমাধান নয়। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃঢ় পদক্ষেপ না থাকায় পুরো বিরামপুর উপজেলাই এখন মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। প্রশাসন যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে পড়বে।” এ বিষয়ে স্থানীয়দের দাবি— নিয়মিত অভিযান, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় মাদক নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বিরামপুরে ক্রমবর্ধমান মাদক পরিস্থিতি রোধে এখনই যদি প্রশাসন ও সমাজ একযোগে কাজ না করে, তবে এই জনপদ দ্রুতই সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের গভীর খাদে পতিত হবে—এমন আশঙ্কাই করছে সচেতন মহল।