কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা এলাকায় কুখ্যাত ‘রহিম ডাকাত’ নামে পরিচিত এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে গভীর জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর, ২০২৫) ভোরের দিকে এই শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালানো হয়।র্যাব-১৫ এর একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাঝিরকাটা এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের ডাকাত রহিম-এর আস্তানায় হানা দেয়। অভিযান চলাকালীন ডাকাত দলের সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। জবাবে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে ডাকাত দলের সদস্যরা দ্রুত গভীর জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়।
অভিযান শেষে ডাকাত দলের আস্তানা থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন প্রকারের গুলি, দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ডাকাত দলের গুলি ছোড়ার ঘটনায় পুরো মাঝিরকাটা এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই ডাকাত দলটি এই অঞ্চলে ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ ছিল জিম্মি।
র্যাবের এই সাহসী অভিযানে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা র্যাবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের আটক করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে র্যাব-১৫ এর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ডাকাত দলকে ধরতে ও তাদের অবৈধ অস্ত্রের উৎস খুঁজে বের করতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তাদের আইনের আওতায় আনা পর্যন্ত র্যাবের তৎপরতা চলবে।