টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রায় দুই বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানে না গিয়েও বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে। তবে শোকজ করার পর মাঝে একবার বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর সম্পন্ন করে রেখেছেন তিনি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন অজ্ঞাত স্থান থেকে।
এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ময়নাল হক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক এটিএম আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে। যে প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮ পরীক্ষার্থীর সকলেই অকৃতকার্য হয়েছেন। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে রুপান্তিত হয় এবং এবারই প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১৮জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক,
মো: একতে-খারুজ্জামান বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন না। তার স্থলে কোন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে অজ্ঞাতস্থানে থাকা প্রধান শিক্ষক এটিএম আবদুল মতিনের কাছে জানতে চাইলে কোনভাবেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে তিনি বেশীরভাগ সময় তার মোবাইল ফোন বন্ধ রাখছেন। কখনো কখনো মোবাইল ফোন সচল করলেও কারো ফোন রিসিভ করছেন না।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দার বলেন, বেতন বন্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ এখতিয়ার আমাদের নেই, এটা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ার। তবে যে প্রতিষ্ঠানে এধরনের সমস্যা রয়েছে আমরা সে সকল প্রতিষ্ঠানকে তাদের দিক থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।