বরিশাল মহানগর ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মাসুম খানকে রাজনৈতিক মামলায় আটক করা হয়েছে। একই দিন পৃথক অভিযানে আউয়াল খান নামের আরেক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। তাদেরকে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন শিকদারের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৩ টার দিকে নগরীর সাগরদী ও সিটি মার্কেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
মাসুম খান বরিশাল মহানগর ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও জিন্নাত আলী খানের ছেলে। তিনি বিএনপির অফিস ভাঙচুর-অগ্নিসযোগ ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন শিকদারের উপরে হামলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ইতিপূর্বে দেশীয় অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অস্ত্রশস্ত্র ও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় যুবলীগ নেতা মাসুম খান দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালিয়েছিল।এসব ঘটনায় করা মামলায় সোমবার রাত ৩ টার দিকে নগরীর সাগরদী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
অপরদিকে নগরীর সিটি মার্কেট এলাকা থেকে আউয়াল খানকে আটক করা হয়েছে। তিনি হোসেন আলী খানের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি সাথে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন- রাজনৈতিক মামলায় মাসুম ও আউয়ালকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মাসুম ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার সম্পাদক। আর আউয়াল আওয়ামী লীগের রাজনীতি সাথে জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি